[mc4wp_form id=”2320″]
ঠোঁট কাটা ও তালু কাটা একটি জন্মগত শারীরিক ত্রুটি। অনেক শিশুই ঠোঁটকাটা-তালুকাটা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ঠোঁটের ওপরের অংশ এবং মুখের ভেতরের তালুতে যদি দৃশ্যমান গঠনগত কোন ত্রুটি চোখে পড়ে তাকেই ঠোঁটকাটা এবং তালুকাটা বলে। গর্ভস্থ শিশুর মুখের গড়ন অসম্পূর্ণভাবে গঠিত হলে জন্মের পর এ ধরনের সমস্যা দৃশ্যমান হতে শুরু করে। বিশ্বে গড়ে প্রতি ৭০০ জনের মধ্যে একজন শিশু এসব সমস্যা নিয়ে জন্মায়। সেই হিসাবে প্রতিদিন ৫৪০ জন, বছরে এক লাখ ৯৭ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ঠোঁট কাটা ও তালু ফাটা শিশু জন্মায়।
সময়মতো চিকিৎসা না করালে শিশু বড় হবার সাথে সাথে নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকে এবং এই সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। যেমন ঠিকমতো খেতে পারে না, খাওয়ার সময় খাবার নাকে উঠে যায়, শ্বাসনালির প্রদাহ হয় ঘন ঘন, শিশু অপুষ্টিতে ভোগে, শোনার সমস্যাও হয়। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি কমে। এতে করে শিশু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শেষে যখন কথা শেখে তা নাকের টানে কথা বলা শেখে। ঠোঁটকাটা যদি ওপরের মাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত হয় তাহলে দাঁতেরও সমস্যা দেখা দেয়। ঠোঁটকাটা-তালুকাটার ফলে কথা বলতে বা শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হয়।
আধুনিক উপায়ে অস্ত্রোপচার করে এ ধরনের জন্মগত ত্রুটি সহজেই ঠিক করা যায়। ঠোঁটকাটা-তালুকাটা চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো শিশুর মুখের স্বাভাবিক গড়ন, শিশুর নিশ্বাস নেওয়া, খাওয়া, কথা বলা এবং শোনার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকলে তা দূর করা। দ্রুততার সাথে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে অপারেশন করলে রোগী এই সমস্যা থেকে আজীবনের জন্য পরিত্রাণ পেতে পারেন।
আপনার সন্তান ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে আতঙ্কিত কিংবা বিভ্রান্ত না হয়ে বিশেষজ্ঞ সার্জনের শরণাপন্ন হউন এবং সন্তানের সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করুন।